মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার ফিসারিঘাটে আজ শুক্রবার দুটি ৭০ ও ৭১ কেজির পাখি মাছ নিয়ে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়। স্থানীয়ভাবে পাখি মাছ হিসেবে পরিচিত এ মাছটি সোর্ড ফিস নামেও পরিচিত। বিক্রেতা এর একেকটি মাছের দাম চেয়েছেন ১৬ হাজার টাকা। বিদেশি পর্যটকদের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামেও এ মাছটি বেশ জনপ্রিয় বলে জানান বিক্রেতা। এ দুটি বড় মাছের পাশাপাশি ১০ কেজি থেকে শুরু করে প্রায় ৬০ কেজি পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পাখি মাছও উঠেছে এদিনের বাজারে। ২০০ টাকা ২৫০ টাকা কেজি দরে এগুলো বিক্রি হয় বলে জানান মাছ ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার ফিসারিঘাটে আজ শুক্রবার দুটি ৭০ ও ৭১ কেজির পাখি মাছ নিয়ে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়। স্থানীয়ভাবে পাখি মাছ হিসেবে পরিচিত এ মাছটি সোর্ড ফিস নামেও পরিচিত। বিক্রেতা এর একেকটি মাছের দাম চেয়েছেন ১৬ হাজার টাকা। বিদেশি পর্যটকদের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামেও এ মাছটি বেশ জনপ্রিয় বলে জানান বিক্রেতা। এ দুটি বড় মাছের পাশাপাশি ১০ কেজি থেকে শুরু করে প্রায় ৬০ কেজি পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পাখি মাছও উঠেছে এদিনের বাজারে। ২০০ টাকা ২৫০ টাকা কেজি দরে এগুলো বিক্রি হয় বলে জানান মাছ ব্যবসায়ীরা।
এদিকে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাছ ধরার ট্রলার কিছুটা কম ভিড়েছে। তারপরও রূপচাঁদা, ভেটকি, চিংড়ি, পোমা, সুরমা, বাইম, ইলিশসহ নানা প্রজাতির মামুদ্রিক মাছে জমজমাট ছিল কক্সবাজার ফিসারিঘাট।
ফিসারিঘাটে মাছ খালাস করা ট্রলারের এক জেলে জানান, ১০ দিন সাগরে মাছ ধরে তারা প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ পেয়েছেন। এর মধ্যে ৩ হাজার পিস ইলিশ প্রায় ৪ লাখ টাকায় বিক্রি হতে পাার বলে জানান তিনি। খরচ বাদ দিলে এবার তাদের সাড়ে ৩ লাখ টাকা লাভ হতে পারে এমনটি আশা করছেন তিনি।
এদিকে ফিসারিঘাটে সাগরে ধরা পড়া বিভিন্ন সাইজের ইলিশও আসছে। ধরারপড়া ইলিশের মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকারের ইলিশই বেশি। বড় সাইজের ইলিশ এখনো কম ধরা পড়ছে। এদিন সাইজ অনুযায়ী প্রতি কেজি ইলিশ ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মাছ ব্যবসায়ীরা।
বড় ট্রলারগুলো থেকে যেসব ব্যবসায়ীরা ছোট ট্রলারে করে মাছ কিনে আনেন তারাও জানান, বর্তমানে ছোট আকারের ১ মণ ইলিশ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং বড় আকারের ১ মণ ইলিশ ১ লাখ টাকায় কেনা বেচা হচ্ছে।
ফিসারিঘাটে টুনা বা সুরমা মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৭০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, গুইজ্জা মাছ ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, শাপলা পাতা ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, কৈ কোরাল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, লাল কোরাল ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, মামুদ্রিক পাঙাস মাছ ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ছাড়াও কক্সবাজার ফিসারিঘাটে খুচরাভাবেও মাছ বিক্রি হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে ক্রেতাদের কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে।
এদিকে সামনে ইলিশ আরো বেশি পরিমানে ধরা পড়লে তখন দাম আরো কমে আসবে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।